নজরুল ইসলাম মাহফুজ //
বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নে চুন্নু সিকদারের নিজ জমিতে রোপনকৃত ধান কাটতে দিচ্ছেন না প্রতিপক্ষের লোকজন। জানা যায়, উপজেলার বড় রঘুনাথপুর গ্রামের কবির সিকদারের ছেলে গোলাম কবির সিকদার গংরা প্রায় শতবছর যাবত রেকর্ডীয় মালিক হয়ে ওই জমি চাষাবদ করে আসছেন। একই গ্রামের আজিজ সিকদার ছেলে হানিফ সিকদার, মৃত হামেদ সিকদারের ছেলে ফারুক সিকদার, সোবাহান সিকদারের ছেলে বশিরি সিকদার, মৃত আজাহার হাওলাদারের ছেলে বারেক হাওলাদার, মৃত সেকান্দার আলী মীরের ছেলে জালাল মীর গংরা ওই জমির মালিকানা দাবি করে ধান কাটায় বাধা দেয়। প্রতিপক্ষের এমন কর্মকান্ডে জমিতে চাষাবাদ করে রোপনকৃদ ধান নষ্ট হয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তিভোগী চুন্নু সিকদার জানান, ওই ভুমিদস্যুরা তার জমি জবর দখল করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ নানা অত্যাচার চালাচ্ছে চুন্নু সিকদার গংদের সাথে। আরও জানা যায়, হানিফ সিকদার তার বৃদ্ধ পিতাকে আজিজ সিকদারকে খুন করে চুন্নু সিকদার গংদের ফাঁসাতে ও এলাকা ছাড়া করে দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে। হানিফ সিকদারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও অত্যাচারের থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে শালিসী বসলেও সে শালিস ও বিচার মানে না। হানিফ সিকদার বিভিন্ন সময়ে রাতের আধারে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে আমাকে খুন ও গুম করতে আমাদের বাড়ির চারিপাশে ঘোরাঘুরি করে। বর্তমানে আমিসহ আমার পরিবারের অন্যান্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এব্যাপারে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামণা করছি।
গত ২৩ অক্টোবর চাষাবাদকৃত উপর ফৌ: কা: বি: আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারা মতে বরিশাল অতি: জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি এম,পি কেস-১১৩/২০২০ দায়ের করেন মিজান সিকদার। আদালত সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দেন।
সরেজমিনের প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা যায়, গোলাম কবির চুন্নু সিকদার রঘুনাথপুর মৌজার ১৫০ নং খতিয়ানের থেকে নতুন সৃজিত ১২৯০ নং খতিয়ান থেকে ৩৬৮৫(।)বিকে/১৬-১৭ নং নামজারি ও জমাখারিজ কেস মূলে নতুন সৃজতি ১৩৯৭ নং খতিয়ানের বিরোধীয় ৬২৪৪ ও ৬১৫৮ নং দাগে যথাক্রমে (১.০৩+০.৮৬) একর জমির মধ্যে ১.৮৯ একর জমির রেকর্ডীয় মালিক হয়ে ওয়ারিশ সূত্রে এবং ৬৫/১৯৮৪ নং দেওয়ানি মোকদ্দমার আদেশ এবং ওই মোকদ্দমার ২৪ এপ্রিল ২০১৮ তারিখের সাহামকৃদ আদেশ মুলে মালিকানাধীন ১.৬৭ একর জমিতে চাষাবাদ করে আউশ ধান রোপন করেন। হানিফ সিকদার গংরা ওই জমির উৎপাদিত ধান বিনষ্ট করার মানশে অত্র মোকদ্দমা দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
Leave a Reply