শাফিন মাহমুদ //
সদা হাস্যজ্জল সদালাপি মানুষ তিনি। এলাকায় রয়েছে অনেক সুনাম। ইতিমধ্যে এলাকাবাসীর কাছে আস্থার প্রতিক হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন এই হাস্যজ্জল মানুষটি। আদর্শ ও ন্যায় নীতির মধ্যে থেকে এলাকার মানুষের পাশে থাকাই এ মানুষটির লক্ষ্য। কোন কিছুর লোভ-লালসা আর হিংসা তাকে আক্রমন করতে পারেনি। এসব কারনেই এলাকার অনেকেই প্রশংসা করেন তার। স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছেও তিনি খুবই প্রিয়। নাম তার খন্দকার জিয়াউর রহমান রিপন। তিনি বাকেরগঞ্জ পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের সফল কাউন্সিলর। শিক্ষা জীবনে ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র। ১৯৯৩ সালে সরকারি বাকেরগঞ্জ কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। পরে তিনি আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি বাকেরগঞ্জ পৌর যুবলীগের সভাপতি হিসেবে অত্যান্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাকেরগঞ্জবাসীর তথা তরুণ সমাজের কাছে তার মেধা ও সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যাপক গ্রহণ যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তরুণ এ নেতা পৌর এলাকায় সামাজিক সংগঠন ‘জয় ফাউন্ডেশন’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গরীব ও অসহায় মানুষদের বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি সমাজে বসবাসকারী সাধারণ নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তার জন্য ২ নং ওয়ার্ডের প্রতিটি রাস্তা পাঁকা করণসহ নিজ উদ্যোগে সামাজিক কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। বাকেরগঞ্জে আওয়ামী যুবলীগ এর রাজনৈতিক পরিসরে রয়েছে ব্যাপক গ্রহণ যোগ্যতা তার। বাকেরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিশাল জন সমর্থন নিয়ে বিপুল ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। বর্তমানে এলাকাবাসীর কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন খন্দকার জিয়াউর রহমান রিপন। দলমত নির্বিশেষে সাধারণ নাগরিকদের সেবা নিশ্চিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম, মশানিধন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে জলবদ্ধতা দুরকরণসহ বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা মাফিক আদর্শ ওয়ার্ড গড়ার প্রত্যশা নিয়ে উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বাকেরগঞ্জ পৌরসভাধীন ২নং ওয়ার্ডকে আদর্শ এলাকা রুপান্তরিত করতে বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. লোকমান হোসেন ডাকুয়াসহ সমাজে বসবাসকারী সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন ও পাচ্ছেন তিনি। শিক্ষা, সামাজিক ও আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনের মাধ্যমে সমাজের দুঃখি মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন এ কাউন্সিলর। শুধু কাউন্সিলর হিসেবেই নয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তৃণমূল নেতা কর্মীদের কাছে তার গ্রহণ যোগ্যতা উল্লেখযোগ্য।
🔹পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা অনেকেই জানান, যে কোন প্রয়োজনে খন্দকার জিয়াউর রহমান রিপনকে এলাকাবাসী তাদের পাশে পান। দলমত নির্বিশেষে যে কোন মানুষই বিপদে-আপদে তার সহযোগীতা পেয়ে থাকেন। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর এক-দেড় বছরের মধ্যে তিনি গোটা এলাকাকে পরিকল্পিতভাবে সুসজ্জিত করে তোলেন। করোনা মহামারীর সময়ে মাহে রমজানে ইফতার সামগ্রী বিতরণ শুরু করেন তিনি। তার ওয়ার্ডে অনেক বিত্তবান থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজস্ব অর্থায়নে বাড়ি বাড়ি ইফতার সামগ্রী বিতরণ করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ভ্যানগাড়ি করে তার ওয়ার্ডের জনগণের জন্য ইফতার ও ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। ঈদে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও নগদ টাকা বিতরণ করেন। প্রতিবার ঈদুল আজহাতে অসহায় পরিবারের মাঝে তেল ও মাংস বিতরণ করেন। এছাড়াও খন্দকার জিয়াউর রহমান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয় এই ওয়ার্ডটিতে। এখন এই ওয়ার্ডটির প্রায় জায়গায়ই সি.সি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত। তাই এই এলাকার আপামর জনসাধারণ তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে এখন অনেকটা সস্তিতে আছেন।
🔹এ ব্যাপারে কাউন্সিলর খন্দকার জিয়াউর রহমান রিপন বলেন, আমার ওয়ার্ডে কোন ধরনের সমস্যায় সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হোক এটা আমি চাই না। এই ওয়ার্ডের বসবাসকারী জনসাধারণ কোন সমস্যার কথা জানালে খুব দ্রুত সমস্যা থেকে পরিত্রান পান এলাকাবাসী। অত্র ওয়ার্ডের মানুষের জন্য কখনো তার সেবা কার্যক্রম একমুহূর্তের জন্যও থেমে থাকবে না। আমি এই ওয়ার্ডের মাটির কাছে ঋণি, আমি এই ওয়ার্ডের মানুষের কাছে ঋণি- তাই আমি অত্র ওয়ার্ডের মানুষের ধারে ধারে ঘুরি, কোন ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া নেই আমার, শুধু এই ওয়ার্ডের মানুষের মূখে হাসি ফুটাতে পারলেই নিজের সার্থকতা মনে করি। তাই আমি নিজেকে এই ওয়ার্ডের মানুষের সেবায় উৎসর্গ করলাম। জনপ্রতিনিধি থাকি আর নাই থাকি অত্র ওয়ার্ডের মানুষের জন্য আমার সেবা কার্যক্রম কখনও থেমে থাকবে না ইনশাআল্লাহ।’
🔸এলাকায় উন্নয়নের চিত্রঃ
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড এলাকার চিত্র পাল্টে দিয়েছেন কমিশনার খন্দকার জিয়াউর রহমান রিপন। পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে চাইতে তার ওয়ার্ড অনেকটা ব্যতিক্রম। সব স্থান থেকে এখানে উন্নয়নের চিত্র আলাদা। উদ্দ্যেগ থাকলে সব কিছুই সম্ভব তার প্রমান এই ওয়ার্ডের কমিশনার খন্দকার জিয়াউর রহমান রিপন। এই ওয়ার্ডের প্রতিটি গলির রাস্তা-ঘাট মেরামত সম্পন্ন ও জলবদ্ধতা নিরসন করেছেন তিনি। ড্রেন ও ফুটপাথ করেছেন সাধারণ মানুষের হাটার নির্ভরযোগ্য স্থান। ২নং ওয়ার্ডের রাস্তা-ঘাট ও অলিতে গলিতে ডিজিটাল এলইডি বাতি স্থাপন করেন। আগামী বর্ষ মৌসুমের আগে পানি নিস্কাশনের জন্য পাইপ লাইন পরিস্কার ও স্থাপন করনের কাজ গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়াও এলাকাকে পরিছন্ন রাখতে তিনি প্রায় সময় নিজ উদ্দ্যেগে পরিছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেন।
Leave a Reply