।।সোহেল রানা মুন্সি।।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নে যৌতুকের দাবিতে একজন স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত গৃহবধূ রুপালি আক্তার মলি বাদী হয়ে গত ১ ডিসেম্বর যৌতুকলোভী স্বামী এনায়েত হোসেন তুরানসহ ৪জনের নামে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দাঁড়িয়াল ইউনিয়নের দক্ষিণ কাজলাকাঠী গ্রামের মকবুল হোসেন মোল্লার কণ্যা রুপালী আক্তার মলির সাথে প্রায় ৮বছর আগে একই উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের রঘুনদ্দী গ্রামের এনায়েত হোসেন তুরানের ইসলামী শরাশরিয়ত মোতাবেক দুই লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাহ হয়।
ওই সময় গৃহবধূ মলির পিতা জামাই তুরান ও মেয়ের স্বর্ণালংকারসহ দামি উপহার দিয়ে ৪লক্ষ টাকা খরচ করেন। বিবাহের পর ঘর সংসার করায় কয়েক বছর পর তাদের ঘরে আবদুল্লাহ আয়ান নামের ১৩ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গৃহবধূ মলি স্বামীর সুখের কথা চিন্তা করে স্বামীর বসতঘর উত্তোলনের জন্য তাহার পিত্রালয় হইতে ৩লক্ষ ৬০ হাজার টাকা এনে দেয়। এরপরও তুরান তার ফরিদপুর ডিসি রোডে এএসটি ব্রিকস’র ব্যবসার কাজে লাগাবে দাবি করে স্ত্রী মলির নিকট ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে ওই টাকা শ্বশুড় বাড়ি থেকে এনে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্ট করেন। তুরান পুনঃরায় তার স্ত্রীকে যৌতুকের ৫ লক্ষ টাকা এনে দিতে চাপ দিলে গৃহবধূ মলি অপারগতা প্রকাশ করেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৪ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার সময় তুরান, তার ভাই হুমায়ুন কবির, সোহরাব হোসেন, ব্যবসায়িক পার্টনার সজিব মোল্লা গৃহবধূ মলিকে পিটিয়ে ফুলাজখম করেন। এমনকি তুরান তার স্ত্রীকে হত্যার জন্য তার দুই হাত দিয়ে মলির গলা চেপে ধরলে ওইদিন বাসায় থাকা তার ছোট বোন মার্জানা আক্তার ডাক চিৎকার দিলে রক্ষা পায়। গৃহবধূ মলি জানায়, তিনি মামলা দায়েরর পর থেকেই তার স্বামী সহকারি শিক্ষক এনায়েত হোসেন তুরান ও সজিব মোল্লা তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে অব্যাহত হুমকি দিচ্ছে। অন্যথায় তাকে প্রাণনাশ করা হবে বলেও হুমকি দেয় তুরান। এ ঘটনায় গৃহবধূ রুপালী আক্তার মলি ন্যায় বিচার পেতে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
Leave a Reply