ডিবির অলআউট অ্যাকশন শুরু: রেজাউল করিম


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় : মার্চ ২, ২০২৫, ৩:৫২ পূর্বাহ্ন /
ডিবির অলআউট অ্যাকশন শুরু: রেজাউল করিম

পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অলআউট অ্যাকশন শুরু হয়েছে। এ সময় ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে আসা বা বাসায় তল্লাশি করার চেষ্টা করলে ডিবিকে জানানোর অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।

শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার উদ্দেশ্যে ডিবি কর্তৃক পরিকল্পিত কার্যক্রম’ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক।

ঢাকা মহানগরসহ দেশবাসীকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ডিবি পুলিশ সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে এবং অপরাধীদের আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।

রোজার মাসে রাজধানীতে গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতা আরো বাড়িয়ে নগরবাসীকে ‘অধিকতর নিরাপদে’ রাখার আশ্বাস দিয়েছেন রেজাউল করিম মল্লিক।

তিনি বলেন, “রমজানে নগরবাসী যাতে নিরাপদে এবাদত-বন্দেগি করতে পারেন, সেজন্য ডিবির কার্যক্রম আরও বেগবান করা হয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি, নগরবাসী এ সময় অধিকতর নিরাপদ ও স্বস্তির পরিবেশে থাকবেন।”

রেজাউল করিম বলেন, “রোজার সময় মানুষের কর্মযজ্ঞ বাড়ে। বিশেষ করে টাকা-পয়সার লেনদেন বেশি হয়। শপিংমল, ব্যাংক, বীমাগুলোতে মানুষের ভীড় বাড়ে। রেলস্টেশন, বাসটার্মিনাল কিংবা সদরঘাটসসহ অন্যন্য জায়গাতে মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। এসব জায়গায় কেউ যাতে নাশকতা করতে না পারে সেজন্য আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।

“পাশাপাশি দূরের যাত্রাপথ বিশেষ করে বাসে কোন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে আমরা গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে আমরা আগে থেকেই ডিবির তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছি।”

এই গোয়েন্দা কর্মকর্তার ভাষ্য, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের বেশিরভাগের বয়স ‘১৫-২০ এর মধ্যে’, যাদের অনেকেই ‘কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য’।

“তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আবার কিছু ফ্যাসিস্ট পতিত রাজনৈতিক শক্তি তাদের ইন্ধন দিয়ে অপরাধ কার্যক্রমে জড়িয়ে দিচ্ছে।”

বিভিন্ন এলাকায় ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীর’ বিরুদ্ধে ‘অলআউট অ্যাকশনে’ যাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথবাহিনী সারাদেশে তৎপরতা বাড়িয়েছে। অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীও মাঠে আছে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী। আমরা বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে তাদের সহায়তা করছি, যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে।”

“গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত থেকে শুরু করে আমরা চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা বদ্ধপরিকর।”

ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে’ মন্তব্য করে রেজাউল করিম বলেন, “আমাদের কাজ হচ্ছে গোয়েন্দা নজরদারি শক্তিশালী করা। আমরা সে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা আশা করি কিছু দিনের মধ্যে আপনারা আরও ভাল অবস্থান দেখতে পাবেন সে প্রত্যাশা করছি।”