লন্ডন প্রবাসীদের বাড়িতে আগুন, মা আহত


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৮, ২০২৩, ৬:২১ অপরাহ্ন /
লন্ডন প্রবাসীদের বাড়িতে আগুন, মা আহত

লন্ডন প্রবাসী মুহসিন আহমেদ চৌধুরীর বাড়িতে হামলা করেছে দূর্বৃত্তরা। এ সময় তারা বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মুহসিনের মা ফজলুন নেছা মারাত্মক ভাবে আহত হন। মুহসিন এর অন্য তিন ভাই ও লন্ডনে বসবাস করে।

জানা যায়, গতকাল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে হঠাৎ একদল মানুষ মুহসিনদের কানাইঘাট উপজেলার উপর ঝিংগাবাড়ী চরিগ্রামের বাড়ীতে হানা দেয়। তারা বাড়ীর আসবাবপত্র ও দরজা জানালা ভাংচুর করে। মুহসিনের মা ফজলুন নেছাকে ও মারধোর করে। এ সময় তারা বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আহত অবস্থায় কোন রকম টলতে টলতে মুহসিনের মা ঘর থেকে বের হন। না হলে হয়তো আগুনে পুড়েই তার জীবন যেত। পাড়াপ্রতিবেশিরা ছুটে আসলে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তারাই ফজলুন নেছাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, কিছুদিন থেকে এলাকার একটা পক্ষ মুহসিনদের বাড়ী ও রাস্তা নিয়ে ঝামেলা করে আসছিল।মুহসিনদের কেউই তেমন দেশে থাকে না আর তাদের মা খুব নিরিহ মানুষ। তারা কখনোই এলাকার কোন ঝামেলায় জড়ায়নি। তাদের উপর এ হামলার কোন কারণ খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে মুহসিনদের বাড়ির কারো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার মায়ের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে গেলে তিনি মুখ খুলতে রাজি হননি ।তবে তাকে খুব ভীত দেখাচ্ছিল।তিনি শুধু বলছেন, আমকে মেরে ফেলবে, আমার ছেলেদের মেরে ফেলবে।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুহসিনের এক বন্ধু জানান, বেশ কিছুদিন থেকে মুহসিনদের বাড়ীতে তার মা একাই থাকেন। বিশাল জায়গা নিয়ে তাদের বাড়ী। বাড়ীতে পুকুর আছে, বাগান ও আছে। বর্তমান বাজারমূল্যে বাড়ীর দাম প্রায় কোটি টাকা। সেটার উপর চোখ পড়ছে এলাকার এক প্রভাবশালী মহলের। তারা অনেকদিন থেকে চেষ্টা করছে বাড়িটি নিজেদের করে নিতে। তারা প্রথম দিকে অনেকবার অল্প টাকায় কেনার প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাতে কাজ না হওয়ায় নানান রকম হুমকি ধামকি দিচ্ছিল। বাড়ী ঘর জ্বালিয়ে দিবে। ছেলেরা দেশে আসলে তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে। হত্যা পর্যন্ত করা হবেও বলে হুমকি দিচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত ঘর বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিল।

তিনি আরো বলেন, এবার হয়ত তাদের মনের আশা পূরণ হতে যাচ্ছে। বাড়িটা এবার দখল ই করবে। তবে মুহসিনে মা বরাবর বলে আসছে আমি মরে যাবো তবুও স্বামীর ভিটা ছাড়ব না।

মুহসিন আহমেদ চৌধুরীর ও তার ভাইদের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।

এই ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু বকরের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি এই ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে ফোন কেটে দেন। পরে অবশ্য অনেক বার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে এই ব্যাপারে থানায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বা কেউ কোন অভিযোগ করেনি। এই ঘটনা এখনই শুনলাম। তবে কেউ মামলা করতে আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে থানার ওসি আমাদেরকে জানান।