গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন দিবসকে কেন্দ্র করে আজ রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছিল। সেখানে শেখ হাসিনাকে নির্দেশ দিতে শোনা যায়, আওয়ামী কর্মীরা যেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি নিয়ে যান। ওই সময় যদি তাদের ওপর হামলা হয় তাহলে সেগুলো ‘জায়গামতো’ পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তার সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের কর্মীরা ট্রাম্পের ছবিসহ পোস্টার বানিয়েছিলেন। তবে এর আগেই আওয়ামী লীগের অনেককে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।
আর আওয়ামী লীগের সেসব কর্মীকে ‘ট্রাম্পের সমর্থক’ হিসেবে প্রচার করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। তারা তাদের ভিডিও প্রতিবেদনের শিরোনামে লিখেছে, “বাংলাদেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা।” যদিও শেখ হাসিনার নির্দেশে কৌশলের অংশ হিসেবে ট্রাম্পের এসব পোস্টার তৈরি করা হয়েছিল।
আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তাদের প্রতিবেদনের শিরোনামে লিখেছে, “মিছিলের ডাক দেওয়ার পর শেখ হাসিনার পার্টি অফিসের বাইরে সংঘর্ষ। ঢাকা উত্তপ্ত।” তবে বাস্তবে আওয়ামী লীগ অফিসের বাইরে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। সেখান থেকে সন্দেহভাজন দুই একজনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল স্থানীয় জনতা। এছাড়া ঢাকায় কোনো উত্তপ্ত পরিস্থিতিও নেই। কারণ সাবেক স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের কর্মী সমর্থককরা জিরো পয়েন্ট বা পার্টি অফিসের সামনে কোনো মিছিল করতে আসেননি।
নিউজট্র্যাক নামের অপর এক সংবাদমাধ্যম লিখেছে, “বাংলাদেশে আবারও বিশৃঙ্খলা। আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিক্ষোভ ঠেকাতে ডাকা হয়েছে সেনাবাহিনীকে।” যদিও রাজধানী আজ রোববার উল্লেখযোগ্য কোনো বড় রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগকে কর্মসূচি পালন করতে না দেওয়ার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
দ্য ভোকাল নিউজ নামের একটি সংবাদমাধ্যম লিখেছে “বাংলাদেশ ট্রাবল : হাসিনার কয়েকশ কর্মী আটক। সেনাবাহিনী মোতায়েন।” সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার তিন মাস পর আওয়ামী লীগ ঢাকায় বড় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের কর্মসূচি করতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :